Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: Rahul Majumder | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ২৩ আগস্ট ২০২৪ ১৮ : ১৫Rahul Majumder

সংবাদ সংস্থা মুম্বই: তিন দশকের ফিল্মি কেরিয়ার পেরিয়ে এসে আজও বলিউডের প্রথম সারির তারকার অন্যতম অক্ষয় কুমার। এখনও তাঁর ছবি দেখার জন্য ভিড় জমে প্রেক্ষাগৃহে। কেরিয়ারের এই দীর্ঘ যাত্রাপথে নিজেকে অনেকে ভেঙ্গেছেন 'খিলাড়ি'। সে অভিনয়ের ধারাতেই হোক কিংবা উপস্থাপনায়। চুলের ছাঁট থেকে জামাকাপড় পরার ধরনে বর্তমানের অক্ষয়ের সঙ্গে ২৪-২৫ বছর আগের অক্ষয়ের মিল পাওয়া দুষ্কর। সেই সময়ের অক্ষয়কে নিয়ে এবার এক মজার ঘটনা ফাঁস করলেন বিখ্যাত পোশাকশিল্পী মণীশ মলহোত্রা।

সেটা ২০০০ সাল। মুক্তি পেয়েছিল অক্ষয় কুমার, শিল্পা শেঠি, সুনীল শেঠি অভিনীত ছবি 'ধড়কন'। বক্স অফিসে সাফল্যের মুখ দেখার পাশাপাশি দর্শকমহলে দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল ছবির সব গান। এই ছবির 'তুম দিল কী ধড়কন মেঁ' নামক রোমান্টিক গানের শুটের সময় অক্ষয়ের বুক জুড়ে ছেয়ে থাকা চুল কাটতে বলছিলেন জনপ্রিয় পোশাক শিল্পী মনীশ মলহোত্রো। 'ধড়কন'-এ তারকাদের পোশাকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মণীশের মুখে একথা শনে 'আতঙ্কিত' হয়ে পড়েছিলেন অক্ষয়। সোজা কথায়, কিছুতেই নিজের বুকের চুল কাটতে রাজি হননি তিনি। প্রসঙ্গত নয়ের দশকে এবং চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকের একেবারে শুরুর দিকে সুঠামদেহী অক্ষয়ের পৌরুষের নির্দশন ছিল তাঁর কাঁধ ছাপানো অবিন্যস্ত চুল এবং বুক ভর্তি চুল। প্রতিটি ছবিতেই বোতামখোলা জামা পরে হোক কিংবা অনাবৃত চেহারায় অ্যাকশনে দৃশ্যে- নিজের পৌরুষের এই নিদর্শন এইভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতেন 'খিলাড়ি'।

যাই হোক মনীশের যুক্তি ছিল, যেহেতু 'ধড়কন' ছবির ওই গানটি রোমান্টিক তাই সেই অনুযায়ী অক্ষয়ের পোশাকের সঙ্গে তাঁর বুকের ঘন চুল ক্যামেরায় ধরা পড়লে তা বড্ড বেমানান হবে। পোশাকশিল্পীর কথায় সায় দিয়েছিলেন ছবির পরিচালক ধর্মেশ দর্শনও। মণীশের কথায়, " আমার কথা শুনে চমকে গিয়েছিলেন অক্ষয়। রীতিমতো অতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন"। 

শেষমেষ কি মনীশের কথা কি শুনেছিলেন অক্ষয়? বোধহয় না। কারণ ছবিতে ওই গানের দৃশ্যে অক্ষয়ের বুকের চুল কিন্তু খানিক দৃশ্যমান। সম্প্রতি দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে মনীশ নিজেও এই বিষয়ে আর বিশেষ কিছু খুলে বলেননি। কিন্তু ইঙ্গিত দিয়েছেন। 

জনপ্রিয় এই পোশাকশিল্পী জানান সেই সময়ে ইন্ডাস্ট্রিতে বেশিরভাগ ছবি নির্মাতা, অভিনেতারা পর্দায় ছবির নায়ক এবং নায়িকাকে কীভাবে দর্শকের সামনে পেশ করা হবে তাই নিয়ে খুব বেশি ভাবতেন না। যেভাবে পেশ করে আনা হয়েছে কোনও অভিনেতাকে সেই গতে ধরা ভাবনাতেই ফের তাঁকে পেশ করা হতো। তখনকার নায়কদের যেমন পোশাক নিয়ে কোনও মাথাব্যাথাই ছিল না-" একটা কিছু পরে পর্দায় আসলেই হল" বক্তব্য মনীশের।